এডিসি নাজমুল স্যারের ফেইজবুক পেজ থেকেঃ

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস।

ছয় দফা দিবসে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে স্বাধীকার, সায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত সকল শহীদ কে জানাই সশ্রদ্ধ অভিবাদন।

১৯৬৬ সালে ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৬ দফা দাবি পেশ করেন।
প্রস্তাব – ১ :
শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি।
প্রস্তাব – ২ :
কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা।
প্রস্তাব – ৩ :
মুদ্রা বা অর্থ-সমন্ধীয় ক্ষমতা।
প্রস্তাব – ৪ :
রাজস্ব, কর, বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা।
প্রস্তাব – ৫ :
বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা।
প্রস্তাব – ৬ :
আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা।
১৯৬৬ সালের ৭ জুন বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা আদায়ের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহীদ হন। সেই থেকেই এই দিন টি ছয় দফা দিবস হিসেবে পালিত হয়। শোষণহীন, নিপিড়নমুক্ত উদারনৈতিক গগণতান্ত্রিক চেতনাই ছয় দফার মূল্যবোধ। আদতে ছয় দফাই স্বাধীন বাংলাদেশের তাত্ত্বিক অনুপ্রেরণা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *