তালাক ও খোরপোষ

মুসলিম পারিবারিক আইন অুনযায়ী বিয়ের মাধ্যমে স্থাপিত সম্পর্ককে আইনগত উপায়ে ভেঙ্গে দেয়াকে তালাক বা বিয়ে বিচ্ছেদ বলে। আইনের দৃষ্টিতে বিয়ে একটি চুক্তি। এর রয়েছে ধর্মীয় ও সামাজিক ভিত্তি। আইন অনুযায়ী একটি বিয়ের যে কোনো  পক্ষ বিয়ে ভেঙ্গে দিতে পারে। যাকে আমরা বিবাহ বিচ্ছেদ বলি।

বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী সবারই সমান অধিকার রয়েছে। যদিও আমাদের একটি প্রচলিত ধারনা আছে যে কেবল স্বামীরাই তালাক দিতে পারে।

যেকোনো সময় স্বামী চাইলেই তালাক দিতে পারে এমন ধারনাই প্রচলিত। দাম্পত্য সম্পর্ক টিকে থাকে স্বামীর মেজাজ-মর্জির ওপর। স্বামী যে ক’দিন চাইবে সে ক’দিন স্ত্রী ঘর-সংসার করবে। স্বামীর মন চাইলেই আউট।  এই ধারণা সমাজে প্রচলিত থাকলেও তা আইন ও ধর্মীয় দৃষ্টিতে বেআইনী।

আইনে যদিও তালাকের ক্ষেত্রে স্বামীর অধিকার বেশি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে স্ত্রীদের তালাক দেয়ার কোনো অধিকার নেই। স্ত্রী বা স্বামীকে কিছু আইনগত শর্ত পালন করতে হয়। এ শর্তগুলো পালন করলেই তালাকের প্রশ্ন আসে। স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়া অধিকার প্রদান করতে পারে। একে আইনের ভাষায় তালাক-ই-তৌফিজ বলা হয়। অর্থাৎ স্ত্রীও তার স্বামীকে তালাক প্রদান করতে পারে।

যেসব কারণে স্বামীকে স্ত্রী তালাক দিতে পারে তা ১৯৩৯ সালের মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইনে কলা আছে। যদি চার বছর পর্যন্ত স্বামী নিরুদ্দেশ থাকে, বা দুই বছর স্বামী স্ত্রীর খোরপোষ দিতে ব্যর্থ হয়, অথবা স্বামীর সাত বৎসর কিংবা তার চেয়েও বেশী কারাদণ্ড হয় তাহলে স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিতে পারে।

এছাড় স্বামী কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়াই নির্দিষ্ট সময় যাবত (তিন বছর) দাম্পত্য দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে অথবা বিয়ের সময় পুরষত্বহীন থাকলেও স্ত্রী তালাক দিতে পারে।

ওই আইনে স্বামী যদি দুই বছর পাগল থাকে অথবা কোনো গুরুতর ব্যধিতে আক্রান্ত থাকে সেক্ষেত্রেও স্ত্রী তালাক দিতে পারে। স্বামীর ধারাবাহিক নিষ্ঠুরতার কারণেও স্ত্রী তালাক চাইতে পারে।

এছাড়া স্বামী বা স্ত্রী যখন দুইজনই তালাকের ব্যাপারে সম্মত হয় তখন একে  খুলা তালাক বলে। এছাড়া আদালতের মাধ্যমেও তালাক কার্যকর হতে পারে।
আমাদের দেশে যতো তালাক হয় তার অধিকাংশই অন্যায়ভাবে ও আইন না মেনে সংঘটিত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নারীদের ওপর দোষ চাপিয়ে তালাক নামক অস্ত্রটি প্রয়োগ করা হয়। যার পুরো সামাজিক, পারিবারিক ও ধমীর্য় দায় বহন করতে হয় একজন নারীকে।

স্ত্রীকে ভরণপোষণ দেয়া একজন স্বামীর আইনগত দায়িত্ব। কিন্তু তালাক হয়ে গেলে স্ত্রীর ভরণপোষণ দেয়া স্বামীর ওপর বর্তায় না। প্রায় সব মুসিলম রাষ্ট্রগুলোতে এটাই প্রচলিত আইন ও রীতি। তালাকের পর নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত স্বামী স্ত্রীর ভরণপোষণ দিতে বাধ্য। কিন্তু সে সময় পার হলে স্ত্রীকে ভরণ পোষণ দেয়া স্বামীর দায়িত্বের মধ্যে পড়েনা।

কিন্তু ১‌৯৮৫ সালে  ভারতের একটি মামলার (মো: আহমেদ খান বনাম শাহ বানু বেগম) রায়ে বলা হয়, একদজন নারী পুন:বিবাহ না করা পর্যন্ত ভরণপোষণের অধিকার পাবে। এটি মুসলিম নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। একই মতামত আমরা দেখি বাংলাদেশের একটি মামলায় (মো: হেফজুর বহমান বনান সামছুন নাহার বেগম) যেখানে একজন নারী তালাকপ্রাপ্তা হিসেবে যতদিন পরিচিত থাকবেন (অর্থাৎ আবার বিয়ে না করবেন) ততোদিন পর্যন্ত ভরণপোষণ পাবেন। পরবর্তীতে (১৯৯৮ সালে) হাইকোটের এ আদেশটি আপিল বিভাগ খারিজ করে দেয়। পবিত্র কুরআনের সুরা বাক্বারার ২৪১ নং আয়াতের যে ব্যাখ্যা হাইকোট দিয়েছে তা গ্রহণ করেনি আপিল বিভাগ। তবে, অন্য কয়েকটি দেশে অন্যায়ভাবে স্ত্রীকে তালাক দিলে সেক্ষেত্রে অনির্দিষ্ট বা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভরণপোষণ দেয়ার বিধান আছে।
অন্যায় ও বেআইনীভাবে কোনো নারীকে যদি তালাক দেয়া হয় সে ক্ষেত্রে ইদ্দত সময়ের বাইরেও ওই নারী যতদিন পুন:বিবাহ না করেন ততদিন ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকারী। পাকিন্তান, মালয়েশিয়ায় এরকম বিধান আছে।  পাকিস্তানের ২০০৯ সালের  সংশোধিত পারিবারিক আইন ও মালয়েশিয়ার ১৯৮৪ সালের আইনে এই বিধান আছে। এছাড়া ইরাক, মিশর, জর্ডান, তুরস্কেও এ বিধান আছে। তবে সব দেশে যে বিধানটি একই রকম তা নয়। এ জাতীয় ভরণপোষণ দিতে হয় দুই বছর পর্যন্ত আবার কোথাও বাসস্থানের ব্যবস্থাও করে দিতে হয়।

আমাদের এখানে বিবাহ ও তালাক সম্পর্কিত আইন হচ্ছে মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১। এ আইনের ৭ ধারায় তালাক সম্পর্কে বিস্তারিত বলা আছে।

এখানে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তালাক দিতে চাইলে, তিনি যে কোনো পদ্ধতির তালাক ঘোষণার পর যথাশীঘ্র সম্ভব চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে নোটিশ দিবেন এবং স্ত্রীকে উক্ত নোটিশের একটি কপি প্রদান করবেন।  কোনো ব্যক্তি যদি নোটিশ না দেয় তাহলে তিনি এক বত্সর বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

কোনো তালাক যদি প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে চেয়ারম্যানের কাছে নোটিশ প্রদানের তারিখের নব্বই দিন পর তা কার্যকর হবে।

তবে, তার আগে নোটিশ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট পক্ষদ্বয়ের মধ্যে পুনর্মিলন ঘটানোর উদ্দেশ্যে একটি সালিশী পরিষদ গঠন করবেন এবং উক্ত সালিসী পরিষদ এই জাতীয় পুনর্মিলনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বিষয়টি যদি সমাধানযোগ্য হয়, তবে তার সমাধান করতে হবে। এটিই মূলত চেয়ারম্যান বা কমিটির কাজ। চেয়ারম্যানকে নোটিশ প্রদানের কারণ এটাই।

একই আইনের ৯ ধারায় আছে, কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে পর্যাপ্ত ভরণ-পোষণ বা খোরপোষ দানে ব্যর্থ হলে বা একাধিক স্ত্রীর ক্ষেত্রে তাদেরকে সমান খোরপোষ না দিলে, স্ত্রী বা স্ত্রীরা চেয়ারম্যানের কাছে দরখাস্ত করতে পারেন। এক্ষেত্রে চেয়ারম্যান বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সালিশী পরিষদ গঠন করবেন এবং ঐ পরিষদ স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে ভরণ-পোষণ প্রদানের জন্য টাকার পরিমাণ নির্দিষ্ট করে সার্টিফিকেট জারী  করবেন। স্বামী যদি ভরণপোষণের কোনো টাকা যথাসময়ে বা সময়মত পরিশোধ না করে তাহলে তা বকেয়া ভূমি রাজস্ব হিসাবে তার কাছ থেকে আদায় করা হবে।

ইসলামের দৃষ্টিতে তালাক ও খোরপোষ:

মুসলিম পারিবারিক আইন অনুসারে তালাক ও খোরপোষ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিষয়গুলি ইসলামী শরিয়া, কোরআন এবং হাদিসের ভিত্তিতে গভীরভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তালাক ও খোরপোষ সম্পর্কিত ইসলামী বিধান শুধুমাত্র পারিবারিক জীবনকে সুষ্ঠু ও সুস্থ রাখার জন্য নয়, বরং সমাজের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ৫০০০ শব্দের একটি বিস্তারিত আলোচনা দেওয়া হয়েছে।

১. তালাক: ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি

তালাক একটি মৌলিক অধিকার যা স্বামীকে প্রদান করা হয়েছে, তবে ইসলামে এটি একটি অপ্রিয় এবং অনিচ্ছিত পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়। কোরআন ও হাদিসে তালাক সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, যেখানে তা শুধু শেষ বিকল্প হিসেবে গ্রহণের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ইসলাম মানবিকতা, ন্যায়বিচার এবং সহানুভূতির সাথে তালাকের বিধান নির্ধারণ করেছে।

কোরআনে তালাকের আলোচনা:
কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে তালাকের বিধান বর্ণিত হয়েছে, যেগুলি বিবাহিত জীবনের পরিস্থিতি ও তালাকের পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা প্রদান করে।

১. **সুরা আল-তালাক (৬৫:১)**: “তোমরা যখন স্ত্রীদের তালাক দেবে, তখন তালাক দেওয়ার সময় তাদের জন্য মেয়াদ পূর্ণ হবে। এবং খেয়াল রাখবে, তালাকের সময় কোনরূপ অযাচিত আচরণ করবে না।”

এই আয়াতে তালাকের সময়ের বিধান এবং তার পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তালাক দিলে তার মেয়াদ (ইদ্দত) শেষ হওয়া পর্যন্ত স্ত্রীকে ঘর ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছে।

২. **সুরা আল-তালাক (৬৫:২)**: “তোমরা তাদের জন্য যথাযথভাবে খোরপোষ প্রদান করবে, এবং তাদেরকে তাদের অবস্থান অনুযায়ী সহানুভূতির সাথে রক্ষা করবে।”

তালাকের পর, স্বামীর দায়িত্ব হচ্ছে স্ত্রীর জন্য খোরপোষ প্রদান করা, যতদিন না তার ইদ্দত শেষ হয়।

হাদিসে তালাক:
হাদিসে তালাকের সম্পর্কেও বিভিন্ন নির্দেশনা রয়েছে। সেসব হাদিসে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্কের গুরুত্ব এবং তালাকের পরবর্তী অবস্থার বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।

১. **হাদিস (সহীহ মুসলিম)**: “তালাক আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত কাজ হলেও, তা পরিহার করা উচিত নয়।”

এই হাদিসে তালাকের অপ্রিয়তা ও তার অপছন্দনীয়তা বর্ণিত হয়েছে। তবে, যদি কোনো সমস্যা সমাধান না হয়, তাহলে তালাক একটি গ্রহণযোগ্য মাধ্যম।

২. **হাদিস (সহীহ বুখারি)**: “তালাক একটি বিয়ের শেষ পদক্ষেপ।”

এই হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তালাকের মাধ্যমে একটি সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটে এবং এটি সর্বশেষ উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া উচিত।

২. খোরপোষ: ইসলামী বিধান

ইসলামে খোরপোষ প্রদান একজন স্বামীর কর্তব্য। কোরআন এবং হাদিসে খোরপোষের সম্পর্কেও স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কোরআনে খোরপোষ:
কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে স্বামীকে স্ত্রীর খোরপোষ প্রদান করতে বলা হয়েছে। এটি সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১. **সুরা আল-বাকারা (২:২۴৫)**: “তোমরা যে টাকা, যা আল্লাহ তোমাদের রিজিক হিসেবে দিয়েছেন, তা তাদের (স্ত্রীদের) দাও।”

এই আয়াতে খোরপোষের গুরুত্ব ও দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে। স্ত্রীর প্রতি খোরপোষ প্রদান একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব যা স্বামীকে পালন করতে হবে।

২. **সুরা আল-তালাক (৬৫:৭)**: “যে ব্যক্তি ধনী, সে তার অবস্থান অনুযায়ী খোরপোষ দেবে এবং যে দরিদ্র, সে তার সাধ্য অনুযায়ী খোরপোষ দেবে।”

কোরআন বলছে, খোরপোষের ক্ষেত্রে ধনীর উচিত তার অবস্থান অনুযায়ী যথেষ্ট খোরপোষ প্রদান করা এবং গরিবের জন্য তার সাধ্য অনুযায়ী খোরপোষ প্রদান করা।

হাদিসে খোরপোষ:
হাদিসেও খোরপোষের বিষয়ে বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। নবী (সা.) এর সময়ে খোরপোষের দায়িত্ব স্বামীর ওপর ছিল এবং স্ত্রীর সম্মান ও অধিকার সম্পর্কে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।

১. **হাদিস (সহীহ বুখারি)**: “তোমরা তাদের (স্ত্রীদের) খোরপোষ দাও, যথাযথভাবে এবং সম্মানের সাথে।”

এখানে খোরপোষের পাশাপাশি স্ত্রীর সম্মান রক্ষারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

৩. তালাক ও খোরপোষের সম্পর্ক

তালাক ও খোরপোষের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। ইসলামে তালাকের পর, স্ত্রীর জন্য খোরপোষ প্রদান স্বামীর কর্তব্য। তালাকের পরে, স্ত্রীর ইদ্দতকালীন সময়ে খোরপোষ প্রদান জরুরি। এই সময়ে স্ত্রীকে কোনো প্রকার অস্বস্তি বা আর্থিক অস্বস্তি থেকে রক্ষা করা উচিত।

ইদ্দত ও খোরপোষ:
ইদ্দত হল সেই সময়কাল যা তালাক বা স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীর জন্য নির্ধারিত হয়। এই সময়ে স্ত্রীর জন্য খোরপোষ প্রদান করা বাধ্যতামূলক, যতদিন তার ইদ্দত শেষ না হয়।

১. **সুরা আল-তালাক (৬৫:৬)**: “তোমরা তাদের জন্য খোরপোষ প্রদান করবে, যতদিন তাদের ইদ্দত শেষ না হয়।”

এই আয়াতে ইদ্দতকালীন সময়ে খোরপোষের কথা বলা হয়েছে, যা ইসলামী আইন অনুসারে স্বামীর কর্তব্য।

৪. তালাকের পরবর্তী পরিস্থিতি

তালাকের পর, স্ত্রীর জন্য খোরপোষ প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তার আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এক্ষেত্রে, যদি স্ত্রীর সন্তান থাকে, তবে তার ভরণপোষণের দায়িত্বও স্বামীর। তালাকের পর, স্ত্রীকে সম্মানজনক ও ন্যায়বিচার ভিত্তিকভাবে খোরপোষ প্রদান করার মাধ্যমে তাকে তার মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।

উপসংহার

ইসলামী আইন অনুসারে তালাক ও খোরপোষ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অতি সতর্কতার সাথে ব্যবহৃত হওয়া উচিত। কোরআন ও হাদিসে তালাক ও খোরপোষের ব্যাপারে স্পষ্ট দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা শুধুমাত্র পারিবারিক শান্তি ও সুস্থতার জন্য নয়, বরং সমাজের বৃহত্তর কল্যাণের জন্যও প্রযোজ্য।

তালাক একটি শেষ উপায় হওয়া উচিত এবং খোরপোষ একটি দায়িত্ব, যা স্বামীকে পালন করতে হবে। এই বিধানগুলি ইসলামের মানবিকতার প্রতিফলন এবং মুসলিম পরিবারে সুষ্ঠু সম্পর্ক রক্ষায় সাহায্য করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *